"গ্লোরিয়াস স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন" এর গঠনতন্ত্র




গ্লোরিয়াস স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন  ১৬/০৬/২০১৮ইং গঠিত হয়।

তবে এর গড়ে ওঠার পিছনে রয়েছে আমাদের শ্রদ্ধেয় মোঃ খাইরুজ্জামান সাগর ভাইয়ের অবদান। প্রতিষ্ঠাকালীন দিনে আরো চারজন সদস্য সহ উপদেষ্টামণ্ডলীর চারজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। যাদের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য বলা যায়। তাদের পরিকল্পনা ও অসামান্য ইচ্ছার ফলেই আজ আমাদের এই বৃহৎ সংগঠন। তারাই প্রথম খোর্দ্দ কাশিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মিটিং ডাকেন এবং আহ্বায়ক কমিটি দেন। যেখানে আহ্বায়ক মোঃ খাইরুজ্জামান সাগর ভাই ও যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ জুয়েল মাহামুদ জীবন ভাই ছিলেন।

আমাদের সংগঠনের প্রথম মিটিং এর একটি ছবিঃ


ছবিতে আছেন বাম দিক থেকে- মোঃ মিনহাজুল ইসলাম, মোঃ মারজান মিয়া , মোঃ শাকিল আব্দুল্লাহ, মোঃ জুয়েল মাহামুদ জীবন, মোঃ খাইরুজ্জামান সাগর, মোঃ হাফিজুর রহমান, মোঃ মকবুল মিয়া, মোঃ মোলাম মন্ডল এবং মোঃ ফরিদুল ইসলাম। 
পরবর্তীতে কয়েকটি মিটিং এর মধ্য দিয়ে ২০১৯ সালে কমিটি দেওয়া হয়। (সকল কমিটির লিস্ট দেখতে এখানে ক্লিক করুন)

এই ধারাবাহিকতায় চলছে আমাদের সংগঠন।

এটি ৬ নং কাফ্রিখাল ইউনিয়নে অবস্থানরত সকল ছাত্র/ ছাত্রীদের সংগঠন। মিঠাপুকুর উপজেলার সকল ছাত্র-ছাত্রী যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে পড়া-লেখা করছি সবার সুখ-দুঃখ,আনন্দ-বেদনা,সুবিধা-অসুবিধায় একে অপরের সাথে থাকা এবং এগিয়ে আসা। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকা, এই সংগঠনের মাধ্যমে সবাই নতুনদের সাথে পরিচিত হওয়া ও নিজেদের মধ্যে ভাল সম্পর্ক তৈরি করা এবং ইউনিয়ন এর শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নই হচ্ছে আমাদের সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য।

                                                       
                                                     
"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম"
"গ্লোরিয়াস স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন"
৬ নং কাফ্রিখাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর

গঠনতন্ত্র:

ধারা ১: সংগঠনের নাম
(বাংলায়): "গ্লোরিয়াস স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন"
(In English): "Glorious Students Association"


ধারা ২: কার্য এলাকা
৬ নং কাফ্রিখাল ইউনিয়ন

ধারা ৩: সংস্থার প্রধান অফিস
খোর্দ্দ কাশিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

ধারা ৪: মূলনীতি
"শিক্ষাই শক্তি, শিক্ষাই মুক্তি"

ধারা ৫: বৈশিষ্ট্য ও প্রকৃতি
এটি একটি (ক) অরাজনৈতিক  (খ) অলাভজনক  (গ) অসাম্প্রদায়িক  (ঘ) মাদকমুক্ত এবং (ঙ) শিক্ষামূলক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। 

ধারা ৬: স্লোগান
"শিক্ষা নির্মল, শিক্ষাই বেশ, শিক্ষায় গড়ব সোনার দেশ"

ধারা ৭: সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

(ক) বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল ভর্তি বিষয়ক সহায়তা প্রদান। 

(খ) উচ্চশিক্ষায় সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ বাড়াতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন।

(গ) ইউনিয়নের সার্বিক শিক্ষার মান উন্নয়নে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ।

(ঘ) বাল্যবিবাহ রোধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করা।

(ঙ) স্কিল ও ক্যারিয়ার উন্নয়নমুখী বিভিন্ন সেমিনার ও আলোচনাসভার আয়োজন করা।

(চ) বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়া।

(ছ) বিভিন্ন সমাবেশের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা।

(জ) গ্লোবাল ওয়ার্মিং থেকে আমাদের পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করা। 

(ঝ) রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা। 

(ঞ) পাবলিক পরীক্ষায় ফলাফলের ভিত্তিতে অথবা জিএসএ কর্তৃক  পরীক্ষা/মনোনয়নের মাধ্যমে মেধাবী ও গরীব ছাত্র-ছাত্রীদেরকে মাধ্যমিক , উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষায় তাদের অনুপ্রেরণা বৃদ্ধির জন্য আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা প্রদান করা এবং দরিদ্র, মেধাবী এবং উচ্চশিক্ষায় অংগ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের এককালীন বৃত্তি প্রদান অথবা মাসিক বৃত্তির ব্যবস্থা করা।  

(ট) ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময় ছাত্র- ছাত্রীদের আবাসন সমস্যা সহ অন্যান্য সমস্যার সমাধান নিশ্চিত করা।

(ঠ) অভিভাবকসহ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে শিক্ষা সর্ম্পকে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

(ড) সাহিত্য, কলা, বিজ্ঞান, প্রকৌশল, জনপ্রশাসন, কৃষি, সমাজবিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ধর্মীয় শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়াদির বই-পুস্তক, প্রকাশনা ও গবেষণাপত্র সংগ্রহপূর্বক কম্পিউটার ল্যাব ও ইন্টারনেট সুবিধা সম্বলিত পাঠাগার স্থাপন ও পরিচালনা করা।

(ঢ) শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা।

(ণ)  নৈতিক শিক্ষার প্রসার ঘটানো।

(ত) জাতীয় দিবস সমূহ পালন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বার্ষিক বনভোজন, বার্ষিক স্মরণিকা প্রকাশ, ইফতার মাহফিল ও ঈদ পুনর্মিলনী।


ধারা ৮: অর্থায়ন
সংগঠনের আয়ের উৎস নিম্নরূপ হবেঃ-

(ক) সদস্যদের মাসিক চাঁদা, এককালীন চাঁদা, দান ও ভর্তি ফি।

(খ) আগ্রহী ব্যক্তি বা সংস্থার কাছ থেকে দান/অনুদান গ্রহণ।

(গ) সরকারি, বেসরকারি ও বিদেশি ব্যক্তি, প্রবাসী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের দান (বিদেশি সাহায্য গ্রহনের ক্ষেত্রে ফরেন ডোনেশন এন্ড ভলান্টারী এক্টিভিটিজ রেগুলেশন ১৯৭৮) মেনে চলা হবে।

(ঘ) সকল ধরনের আয়ের এবং ব্যয়ের ক্ষেত্রে রশিদ সংরক্ষণ করতে হবে। 

আয় ও অর্থায়ন ব্যবহারঃ
সংগঠনের আয় উহার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ব্যয় করা হবে। উহার আয় সদস্যদের মধ্যে লাভ বা বোনাস আকারে বন্টন করা যাবে না।

ধারা ৯: সদস্য
সংগঠনের সদস্য দুই ধরনের থাকবে।

স্থায়ী সদস্য:
      স্থায়ী সদস্য হতে হলে-
       (ক) বিশ্ববিদ্যালয় অথবা পাবলিক মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী হতে হবে।

       (খ) এসোসিয়েশনের সকল কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ থাকতে হবে।
       (গ) রাজনীতির সাথে সম্পৃক্তদের এসোসিয়েশনের সদস্য হিসেবে গ্রহণ করা হবে না।

       (ঘ) এসোসিয়েশনের সাথে পূর্ণ সহযোগিতা ও ঐকমত্য পোষণ করতে হবে। 
সাধারণ সদস্য:
সাধারণ সদস্য হতে হলে-
       (ক) বিভিন্ন স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ইচ্ছানুরাগী শিক্ষার্থী হতে হবে।
       (খ) স্থায়ী কমিটির সকল কার্যক্রমে প্রয়োজন অনুযায়ী সহযোগিতা করার ইচ্ছা থাকতে হবে। 


ধারা ১০: কার্যনির্বাহী সদস্য
সংগঠনের স্থায়ী এবং সাধারণ সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী সংসদ গঠিত হবে। যা নিম্নরূপঃ-

পদবি সংখ্যা
সভাপতি ১ জন
সহ-সভাপতি ১ জন
সাধারণ সম্পাদক ১ জন
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ১ জন
সাংগঠনিক সম্পাদক ১ জন
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ১ জন
অর্থ সম্পাদক ১ জন
ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ১ জন
দপ্তর সম্পাদক ১ জন
শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক ১ জন
সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১ জন
ক্রীড়া সম্পাদক ১ জন
আপ্যায়ন সম্পাদক ১ জন
সমাজসেবা সম্পাদক ১ জন
তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ১ জন
ইউনিয়ন বিষয়ক সম্পাদক ১ জন
স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ১ জন
কার্যকরী সদস্য ১৮ জন


পরিচালনা পরিষদের কোন পদ শূন্য হলে উক্ত পরিষদের মতামতের ভিত্তিতে সংগঠনের আদর্শ ও লক্ষ্য উদ্দেশ্যের প্রতি আস্থাশীল যে কোন সদস্য ব্যক্তিকে শূন্য পদে পরিচালনা পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন।


ধারা ১২: মেয়াদ কাল
পরিচালনা পরিষদের মেয়াদকাল অনূর্ধ্ব ১(এক) বছর হবে। ১ বছর অতিক্রম করার পর ১ মাসের মধ্যে নতুন পরিচালনা পরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠন করে সকল দায়িত্ব হস্তান্তর করবে।


ধারা ১৩: পরিচালনা পরিষদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব

  • পরিষদের যাবতীয় কার্যাবলী, আয়-ব্যয়ের হিসাব পরিচালনা করা।
  • সাধারণ পরিষদের বৈঠকে বার্ষিক বাজেট ও হিসাব নিরীক্ষণের প্রতিবেদন পেশ করা।
  • সাধারণ পরিষদের বার্ষিক বৈঠক আহ্বান করা ও আলোচ্য বিষয় নির্ধারণ করা।
  • পরিচালনা পরিষদের বৈঠক প্রতি ২(দুই) মাস এবং সকল সদস্যদের নিয়ে বৈঠক প্রতি ৪(চার) মাস অন্তর অন্তর অনুষ্ঠিত হবে।


ধারা ১৪: সভাপতি ও সহ-সভাপতির দায়িত্ব

  • সভাপতি সংগঠনের প্রধান বলে বিবেচিত হবেন। তিনি বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন এবং সকল সদস্যদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ ও উপদেশ দেবেন।
  • সিনিয়র সহ-সভাপতি, সভাপতির অনুপস্থিতিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।


ধারা ১৫: সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম -সাধারণ সম্পাদক, সদস্যবৃন্দের দায়িত্ব

  • সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের প্রশাসনিক প্রধান বলে বিবেচিত হবেন। তিনি পরিচালনা পরিষদের পরামর্শক্রমে যে কোন বৈঠকের নোটিশ ইস্যু করবেন এবং উক্ত বৈঠকের কার্যবিবরণী সংরক্ষণ করবেন। তাছাড়া পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন ।
  • যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।
  • সদস্যবৃন্দঃ পরিচালনা পরিষদের সদস্য বৃন্দ পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক যাবতীয় কার্যাবলীতে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবেন।


ধারা ১৬: বার্ষিক সাধারণ সভা

  • প্রতি পঞ্জিকা বছরে একবার বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সাধারণ সভার জন্য কমপক্ষে ১৪(চৌদ্দ) দিন পূর্বে নোটিশ দিতে হবে।
  • বার্ষিক সাধারণ সভায় সংগঠনের কাজের বার্ষিক প্রতিবেদন, অডিট রিপোর্ট, বার্ষিক বাজেট পেশ ও অনুমোদন করা হবে।
  • বার্ষিক সাধারণ সভায় সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হবে।


ধারা ১৭: সাধারণ পরিষদের বৈঠকের নোটিশ ও কোরাম

  • সাধারণ পরিষদের বৈঠকের নোটিশ অন্তত ১৫ দিন পূর্বে এবং পরিচালনা পরিষদের বৈঠকের নোটিশ অন্তত ৩ দিন পূর্বে প্রদান করতে হবে।
  • পরিচালনা পরিষদের সভা যথাক্রমে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম হবে। তবে কোরামের অভাবে কোন সভা মুলতবি হলে, পরবর্তীতে বৈঠকের জন্য কোন কোরামের প্রয়োজন হবে না।


ধারা ১৮: নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন

(ক) সদ্য বিদায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং বয়োজ্যেষ্ঠ ৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে  মোট ৫ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে।

(খ) নির্বাচনকালে ব্যক্তির সততা, দক্ষতা, আমানতদারিতা ও দায়িত্বশীলতা প্রাধান্য দেয়া হবে।

(গ) সভাপতি ও  সাধারণ সম্পাদক এক বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হবেন। দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।

(ঘ) কার্যনির্বাহী সংসদের ১৭ জন সদস্য ও সকল স্থায়ী সদস্য ভোটার হিসেবে বিবেচিত হবেন। আহ্বায়ক কমিটির ক্ষেত্রে কমিটির সকল সদস্য এবং সংগঠনের সকল সাধারণ সদস্যদের ভোটে নতুন কার্যনির্বাহী সংসদ নির্বাচিত হবে।


ধারা ১৯: ব্যাংক অ্যাকাউন্ট

  • সংগঠনের নামে যে কোন বাণিজ্যিক ব্যাংকে এক বা একাধিক হিসাব খোলা যাবে।
  • সংগঠনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্তে পরিচালিত হবে।


ধারা ২০: উপদেষ্টা পরিষদ

  • প্রতিষ্ঠাকালীন উপদেষ্টামণ্ডলী আজীবন স্থায়ী সদস্য হিসেবে বিবেচিত থাকবেন।
  • সদ্য বিদায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি লাভের পর উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব লাভ করবে। প্রারম্ভিক উপদেষ্টা ছাড়া নতুন উপদেষ্টা যদি প্রয়োজন হয় তবে নির্বাহী সংসদ কর্তৃক বিল পাস করতে হবে।
  • উপদেষ্টা পরিষদ ছাড়াও প্রাক্তন সদস্যগণ পরামর্শ প্রদান করতে পারবেন।

ধারা ২১: ওয়ার্ড প্রতিনিধি
প্রত্যেক ওয়ার্ডে ২ জন করে প্রতিনিধি থাকবে। তাদের পদবী ওয়ার্ড প্রতিনিধি ও সহকারী ওয়ার্ড প্রতিনিধি হবে এবং ওয়ার্ড প্রতিনিধিরা ওয়ার্ডের যাবতীয় কার্যক্রম কার্যনির্বাহী সংসদকে অবহিত করবেন।


ধারা ২২: হিসাব নিরীক্ষণ
পরিচালনা পরিষদ সংগঠনের হিসাব নিরীক্ষার জন্য দুই জন সদস্যকে নিরীক্ষক নিয়োগ করবেন। তিনি বছরে একবার হিসাব নিরীক্ষণ করে পরিষদের কাছে পেশ করবেন। নিরীক্ষককে সকল প্রকার সহযোগিতা করবেন অর্থ সম্পাদক।


ধারা ২৩: বহিস্কার
কার্যনির্বাহী কমিটির কোন সদস্য যদি সংগঠনের নামে অপপ্রচার কিংবা উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে সংগঠনের ক্ষতি করার চেষ্টা করে এবং পরবর্তীতে সেটা প্রমাণিত হলে পদাধিকার বলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাকে পদচ্যুত করার ক্ষমতা রাখেন ।


ধারা ২৪: গঠনতন্ত্র সংশোধন
লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও গঠনতন্ত্র ব্যাখ্যার ব্যাপারে প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে এবং প্রয়োজনে সংশোধন করা যাবে। তবে সংশোধনের পূর্বে চলমান কমিটি কর্তৃক একটি "সংবিধান পরিবর্তন ও সংযোজন" বিষয়ক বিল উত্থাপন করতে হবে। তবে সংশোধনের বিষয়টি আসলে কি, তা অবশ্যই প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অনুমতি  সম্মতি ও পরামর্শক্রমে হতে হবে।